Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped







একনজরে

                                                                                                         ‘‘রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ’’

                                                                                                 এক নজরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার

মানব সভ্যতার সূচনা লগ্ন থেকেই সমাজ এবং রাষ্টীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে শাস্তি কার্যকর করণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে কারগারের সৃষ্টি। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ১৫৫২ সালে লন্ডনের একটি প্রাসাদকে সেন্ট ব্রিগেট ওয়েল কারাগার হিসাবে চিহ্নিত করণের মাধ্যমে আধুনিক কারা ব্যবস্থার পত্তন হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৬০-৬১ সালে বিভিন্ন জেলা ও মহকুমা সদরে কারাগার নির্মান করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় মহকুমা সৃষ্টির পর প্রায় ৩.০০ একর ভূমির উপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপ কারাগারের কার্যক্রম চালু হয়। বাংলাদেশের স্বাধিনতার পরবর্তী সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়  রূপান্তরিত হওয়ায় ১১-০৭-১৯৮৮ ইং তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের কার্যক্রম চালু হয়। কারাগারটি অপরিকল্পিতভাবে পেরিমিটার প্রাচিরের অভ্যন্তরে মাত্র ০.৮০ একর জমির উপর গাদাগাদি করে ভবন নির্মাণ এর মাধ্যমে সর্বশেষ ২৮২ জন বন্দী ধারণ ক্ষমতায় মানবেতর ভাবে অধিকাংশ সময়ে সহস্রাধিক বন্দী অবস্থান করতে থাকে ১৯৯৬ সালে জন নেত্রী শেখ হাসিনার নেত্রীতে গঠিত সরকার এর আমলে ‘‘ শুধু মাত্র শাস্তি কার্যকর করণের স্থান নয় বরং কারাগার একটি সংশোধনী প্রতিষ্ঠান’’ এ ধারণা নিয়ে  বন্দীদের দুর্ভোগ -দুর্দশা লাঘবের উদ্দেশ্যে কারাগারটি বৃহৎ পরিসরে স্থানামত্মরের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।১৯৯৭-৯৮ অর্থ বছরে ‘‘৩ কারাগার নির্মাণ ’’ প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় উরশিউড়া গ্রামে ১৭(সতের) একর ভূমির উপর ১২০০(বার শত) বন্দীর ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন জেলা কারাগার  নির্মাণ সম্পূর্ন করার পরিকল্পনা গৃহিত হয়। নানা প্রতিকূলতা এবং ধীর গতির কারণে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর প্রথম পর্যায়ে ৫০৪(পাঁচ শত চার) জন বন্দী ধারণ ক্ষমতা উপযোগী কারাগারটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়। খোলা মেলা পরিবেশে বাহ্যিক ভাবে দৃষ্টিনন্দন অবয়বে নবনির্মিত কারাগারটি কারা বিভাগের নিকট হসত্মামত্মর করা হয়। ১৮-০৪-২০০৯ ইং তারিখে তৎকালিন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি এডভোকেট সাহারা খাতুন উদ্ভোধন করার পা পাই বন্দি স্থানামত্মর কার্যক্রমের মাধ্যমে নবনির্মিত কারাগারটি যাত্রা শুরম্ন হয়।